সফিকুল ইসলাম, মুরাদনগর (কুমিল্লা) প্রতিনিধি ঃ
কুমিল্লার মুরাদনগরে মৌসূমী পিঠা পুলির পসরা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। মাটির চুলায় গরম ভাপে চালের গুড়া, গুড়, নারিকেল দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে ভাপা পিঠা। সাথে আবার ধনেপাতা-কাঁচা মরিচের চাটনি দিয়ে চিতই পিঠা খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আগাম পিঠা খেতে পিঠা প্রেমীরা ভিড় জমাচ্ছেন দোকানে। কেউ আবার পরিবারের জন্যও নিয়ে যাচ্ছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে দেখা যায় শীতের পিঠা বিক্রিতে ব্যস্ত সময় পার করছে কামাল বাদশা ও রাবিয়া বেগম দম্পতি। প্রতি পিস ভাপা পিঠা ২০ টাকা, চিতই পিঠা ১০ টাকা, ডিম চিতই পিঠা ৩০-৪০ টাকা করে বিক্রি করছে। সাথে হরেক রকম ভর্তা ফ্রি।
বিক্রেতা কামাল বাদশা ও রাবিয়া বেগম জানান, এ মৌসূমে সবেমাত্র শুরু করেছেন পিঠা বিক্রি। বিক্রির আজ দ্বিতীয় দিন। ভালই বিক্রি হচ্ছে। শীত বাড়লে বিক্রি আরো বাড়বে বলেও জানান তারা।
পিঠা খেতে আসা ক্রেতা জামান বলেন, নতুন চালের গুড়ো, গুড় আর নারেকেলের ঘ্রানে পিঠা না খেয়ে যেন উপায় নেই। চুলা থেকে নামিয়ে গরম পিঠা খাওয়ার স্বাদই অন্যরকম। সবকিছুর দাম বাড়লেও চিতই পিঠার দাম গত বছরের মতই আছে তবে ভাপা পিঠার দাম একটু বেড়েছে।
ধোঁয়া ওঠা পিঠার দৃশ্য দেখে চলতি রিকশা থামিয়ে পিঠা কিনছেন শিক্ষিকা শাহানা। তিনি বলেন, এতকিছু দিয়ে বাড়িতে ভাপা পিঠা বানানো কষ্টকর তাই এখান থেকে গরম পিঠা কিনে নিয়ে যাচ্ছি। এই মৌসুমে আজকেই প্রথম পরিবারের সবাই মিলে পিঠা খাওয়া হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ এনামুল হক বলেন, শীতের পিঠা পুলি আমাদের গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্য। শীতের পিঠার প্রতি সকলেরই আগ্রহ রয়েছে। তবে ক্রেতারা বাহিরের খাবার গ্রহণ করার ব্যপারে সচেতন থাকতে হবে। তাছাড়া স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পিঠা তৈরি ও পরিবেশন করার বিষয়ে তিনি সকলকে আহব্বান জানান।