প্রবাসের মাটিতে একজন নিঃস্বার্থ রেমিটেন্স যোদ্ধা আমজাদ হোসেন রিপনের গল্প

প্রকাশিত: ১১:১১ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:
আমজাদ হোসেন রিপন — একজন নিরলস পরিশ্রমী, মানবিক ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ প্রবাসী। কুমিল্লা মহানগরীর ১৩ নম্বর ওয়ার্ড, দক্ষিণ চর্থা, থিরা পুকুরপাড় এলাকার এই মানুষটি প্রায় এক দশক আগে বাবার ব্যবসার হাল ধরতে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। তখনই শুরু হয় তার সংগ্রাম আর সাফল্যের নতুন অধ্যায়। প্রবাসের কঠিন বাস্তবতায় নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করার পাশাপাশি তিনি হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের অসংখ্য তরুণের আশার আলো।

নিজের কষ্টার্জিত অর্থ ব্যয় করে দেশের বহু বেকার যুবককে তিনি সৌদি আরবে নিয়ে গিয়ে চাকরির সুযোগ করে দিয়েছেন। কারও পাসপোর্ট, কারও ভিসা, কারও টিকিট—সব কিছুতে পাশে ছিলেন রিপন। বিনিময়ে কিছু চাননি—চেয়েছেন শুধু তাদের মুখে হাসি, পরিবারের স্বস্তি।

তিনি শুধু অর্থনৈতিক সাহায্যেই থেমে থাকেননি। নিজ এলাকা সহ আশেপাশের গ্রামের মানুষের পাশে থেকেছেন প্রতিটি প্রয়োজনের মুহূর্তে—চিকিৎসা, পড়ালেখা, বিয়েশাদি কিংবা দুর্যোগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নীরবে, নিঃস্বার্থভাবে। প্রবাসে থেকেও এলাকার অসংখ্য সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থেকে কাজ করেছেন নীরব সেবক হিসেবে। এমনকি আজও পর্যন্ত কেউ তার দরজায় এসে খালি হাতে ফিরে যাননি।

বর্তমানে তিনি ছুটিতে দেশে এসেছেন। অথচ আজ সেই মানুষটিই কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের শিকার। দীর্ঘ প্রবাস জীবনে কুমিল্লার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ হজ করতে গেলে তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলকে আন্তরিক আপ্যায়ন করেছেন, সহযোগিতা করেছেন। সেই সময়কার সৌজন্যমূলক ছবি—যা ছিল সম্প্রীতির প্রতীক—আজ তা কিছু লোক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে তার সামাজিক অবস্থান ও সম্মানহানির অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। যা নিঃসন্দেহে অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়।

এ বিষয়ে আমজাদ হোসেন রিপন দৃঢ় কণ্ঠে বলেন— “আমি সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। কাউকে কষ্ট দিইনি, কারও অপমান করিনি। আজ আমার সেই মানবিক কাজগুলোকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে যারা সমাজে আমাকে হেয় করতে চাইছে, তারা প্রকৃত অর্থে মানবতা ও দেশপ্রেমের শত্রু। আমি এই ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি—এই অপপ্রচারকারীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।