কচুয়ায় মাটি ব্যবসায়ী মাসুদের অত্যাচার-নির্যাতনের বিচার চেয়ে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন দৈনিক ভোরের কলাম দৈনিক ভোরের কলাম প্রকাশিত: ৬:১৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০২৫ শাহরাস্তি থেকে মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়া ঃ কচুয়া উপজেলার গোহাট দক্ষিণ ইউনিয়নের কেশোরকোট গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী মাসুদ আলমের অত্যাচার নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার বিচারের দাবীতে মানববন্ধণ ও সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীরা। গতকাল শনিবার দুপুরে কচুয়া-কালিয়া পাড়া সড়কের ( কেশোরকোট গ্রাম অংশে) মক্কা টাওয়ারের সামনে এ মানববন্ধণ ও সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মাসুদ আলমের অত্যাচার নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণীর শিকার কেশোরকোট গ্রামের অধিবাসী প্রবাসী হাবিবুর রহমান লিখিত বক্তব্য পেশ করেন। অভিযোগে তিনি বলেন,মাসুদ আলম ২০২১সালে আমার জমির মাটি ক্রয় করে নিতে চাইলে আমি তাতে রাজি হইনি। তার নিকট মাটি বিক্রি না করার জের ধরে আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য সে আদা জল খেয়ে নেমে পড়ে। আমার জমির ৩ পাশে অন্য মালিকদের নিকট থেকে মাটি ক্রয় করে খুব গভীর গর্ত করে মাটি কেটে নেয়, এতে করে আমার জমির মাটি ভেঙ্গে ও ধসে পড়ে। এর প্রতিবাদ করে কোন ফল না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিলে পুলিশ এসে মাটি কাটা বন্ধ করে দেয়। এতে মাসুদ আলম আমার পরিবারের সদস্যদের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে আমাদেরকে হয়রানী করার জন্য নানা পরিকল্পনা করতে থাকে। ২০২৩ সালের ৩১ মে তার মেয়েকে দিয়ে আমার মেজো ছেলে আজিজুল হাকিম রিশাদ(১৭) বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তার মেয়ে আদালতে হাজির হয়ে ২২ ধারায় জবান বন্দী দেয় তাকে অপহরণ করা হয়নি। প্রেমের সম্পর্কে সে রিশাতের সাথে স্বেচ্ছায় চলে গেছে। এর পর থেকেই মেয়ের বাবা মাসুদ আলম একের পর এক মিথ্যা মামলা করে করে আমাকে সামাজিকভাবে হয়রানি করে আসছে। গত ১৪/০৩/২০২৪ ইং কচুঁয়া থানার ও বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্টট আদালত চাঁদপুর, থানার এনএফ আই আর নং ১৭৫, ও ননজিআর নং ০৩/২০২৪, আদালতের মামলাটি তদন্তের জন্য গোহাট উওর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আমির হোসেনের নিকট পাঠায়। চেয়ারম্যান কয়েক দফা সমন জারি করা সত্বেও মাসুদ আলম চেয়ারম্যানের কোর্টে হাজির হয়নি। এলাকা বাসীর গণ স্বাক্ষরে মাসুদ আলমের মিথ্যা মামলা সৃষ্টি সহ বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরে চেয়ারম্যানের নিকট দরখাস্ত দাখিল করলে ওই দরখাস্তের আলোকে চেয়ারম্যান মাসুদ আলমকে মামলাবাজ উল্লেখ করে কোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেন। একটি ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে মাসুদ আলম কচুয়া থানায় আমার ৩ ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পুলিশের তদন্তেও এ মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হয়। এ মামলার প্রেক্ষিতে মাসুদ আলম আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের ও আমার ছেলেদেরকে মারধর সহ কোন প্রকার হয়রানী করবেনা বলে পুলিশের নিকট মুছলেকা দেয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই মামলাবাজ মাসুদ আলম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ আমার ছেলে রিসাদ কে হুমকি দেয় তার মাথা থেতলে দিবে , ঠিক তার পরের দিন দুপুরে মেডিকেল সাহারপাড় আলিফ মেডিকেলের সামনে রাস্তার উপরে মাসুদ আলম গংরা মারধর করে আমার ছেলের মাথা ফাটিয়ে দেয় তার সন্ত্রাসী তৎপরতায় আমি কচুয়া হাসপাতালে তাকে ভর্তি করাতে পারি নাই। পরে আমি শাহারাস্তি হাসপাতালে তাকে চিকিৎসা করাই। আমি তার বিরুদ্ধে গত ২৯ /০৯/২০২৪ইং চাঁদপুর কোর্টে মামলা করলে, সে এই মামলা কে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য, গত ২৬/১০/২০২৪ইং আমার ২ ছেলে, স্ত্রী ও আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। আমার পক্ষে সাক্ষী হওয়ায় আমার ছেলের মামলার তিন নম্বর সাক্ষী রোকেয়া বেগমকে গত ২০/১১/২০২৪ইং তার ঘরে ঢুকে তাকে মারধর করে এবং তার মাথা ফাটিয়ে দেয়। ২১/১১/২০২৪ ইং তারা কোর্টে মামলা করলে , মাসুদ রোকেয়াদের বিরুদ্ধে ২৪/১১ /২০২৪আরেকটি মামলা করে। । মাসুদ আলম গংরা আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আরো মিথ্যা মামলা দায়ের সহ আমাদের প্রাণ নাশের ঘটনা ঘটাতে পারে বলে আশংকা করছি। আমার দায়ের করা মামলার স্বাক্ষীদেরকেও শারিরিক নির্যাতন সহ তাদের বিরূদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করে আসছে মাসুদ আলম। তিনি মাসুদ আলম গংদের এ অপকর্মের দৃষ্টান্ত মূলক বিচার দাবী করছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট। সংবাদ সম্মেলন ও মানব বন্ধনে মাসুদ আলমের মিথ্যা মামলা ও নির্যাতনের শিকার কেশোরকোট গ্রামের রোকেয়া বেগম ও বাবুল মিয়া বক্তব্য রাখেন। তারাও মাসুদ আলমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনে ভ’ক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা ছাড়া ও কেশোরকোট গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন। ছবিঃ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন কেশোরকোট গ্রামের অধিবাসী প্রবাসী হাবিবুর রহমান। ক্যাপশন: কচুৃঁয়ার মাটি খেকো মাসুদ আলমের অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান তার পুএ রিশাদ হোসেন ও স্থানীয় এলাকাবাসী মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলনের একাংশ। SHARES প্রচ্ছদ বিষয়: